Admission
রসায়ন - রসায়ন- প্রথম পত্র - দ্রাবক নিষ্কাশন

দ্রাবক নিষ্কাশন:

দ্রাবক নিষ্কাশন হল একটি রাসায়নিক পদ্ধতি যেখানে একটি মিশ্রণ থেকে একটি নির্দিষ্ট উপাদানকে পৃথক করার জন্য দ্রাবক ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে, দ্রাবকটি মিশ্রণের সাথে মিশে যায় এবং নির্দিষ্ট উপাদানটিকে দ্রবীভূত করে। এরপর এই দ্রবণকে অন্য একটি পাত্রে স্থানান্তর করে দ্রাবককে বাষ্পীভূত করে নির্দিষ্ট উপাদানটিকে পৃথক করা হয়।

কীভাবে কাজ করে?

দ্রাবক নিষ্কাশনের মূলনীতি হল "সদৃশ দ্রাবক সদৃশ পদার্থকে দ্রবীভূত করে"। অর্থাৎ, একটি পোলার দ্রাবক একটি পোলার পদার্থকে আর একটি অপোলার দ্রাবক একটি অপোলার পদার্থকে দ্রবীভূত করতে পারে।

দ্রাবক নিষ্কাশনের পদ্ধতি:

  1. মিশ্রণ তৈরি: প্রথমে, যে মিশ্রণ থেকে নির্দিষ্ট উপাদানটি পৃথক করতে চাওয়া হয় তাকে একটি উপযুক্ত দ্রাবকে মিশ্রিত করা হয়।
  2. দ্রবণ গঠন: দ্রাবকটি মিশ্রণের সাথে মিশে যায় এবং নির্দিষ্ট উপাদানটিকে দ্রবীভূত করে।
  3. দ্রবণ পৃথকীকরণ: দ্রবণকে একটি পৃথক পাত্রে স্থানান্তর করা হয়।
  4. দ্রাবক বাষ্পীভবন: দ্রবণকে উত্তপ্ত করে দ্রাবককে বাষ্পীভূত করা হয়।
  5. শুদ্ধ পদার্থ সংগ্রহ: বাষ্পীভবনের পর যে পদার্থ অবশিষ্ট থাকে তা হল নির্দিষ্ট উপাদানটি।

দ্রাবক নিষ্কাশনের ব্যবহার

  • উদ্ভিদ থেকে রাসায়নিক পদার্থ নিষ্কাশন: উদ্ভিদের পাতা, ফুল, বীজ ইত্যাদি থেকে রঙিন পদার্থ, সুগন্ধি তেল ইত্যাদি নিষ্কাশন করতে।
  • জৈব যৌগ পৃথকীকরণ: বিভিন্ন জৈব যৌগ, যেমন অ্যামিনো এসিড, শর্করা ইত্যাদি পৃথক করতে।
  • ঔষধ শিল্প: নতুন ওষুধ আবিষ্কার এবং তাদের শুদ্ধিকরণে।
  • পরিবেশ বিজ্ঞান: পরিবেশের বিভিন্ন নমুনা থেকে দূষণকারী পদার্থ পৃথক করতে।

দ্রাবক নিষ্কাশনের সুবিধা

  • সহজ পদ্ধতি: এই পদ্ধতিটি পরিচালনা করতে খুব সহজ।
  • বিভিন্ন ধরনের যৌগ পৃথক করা যায়।
  • অল্প পরিমাণ নমুনা দিয়েই কাজ করা যায়।

দ্রাবক নিষ্কাশনের সীমাবদ্ধতা

  • দ্রাবকের বিষাক্ততা: অনেক দ্রাবক বিষাক্ত হয়।
  • পরিবেশ দূষণ: দ্রাবকের অপচয় পরিবেশ দূষণের কারণ হতে পারে।
  • সবসময় সম্পূর্ণ পৃথকীকরণ নিশ্চিত করা যায় না।

ব্যবহৃত দ্রাবকের উদাহরণ

  • পেট্রোলিয়াম ইথার: চর্বি, তেল ইত্যাদি অপোলার পদার্থ দ্রবীভূত করতে।
  • ক্লোরোফর্ম: আয়োডিন, অ্যালকালয়েড ইত্যাদি পদার্থ দ্রবীভূত করতে।
  • ইথানল: রঙিন পদার্থ, সুগন্ধি তেল ইত্যাদি পদার্থ দ্রবীভূত করতে।
Content added By
Promotion